সারাদেশ

নড়াইলে সহকর্মীকে হত্যার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন

নড়াইলে সাব্বির হোসনকে (৪৫) নামে একজনকে হত্যার দায়ে তার দুই সহকর্মীর যাবজ্জীবন ও একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শাহজাহান আলী এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজন হলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার চামটা গ্রামের ফারুক হোসেন খান ও পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার শিয়ালকাঠির রফিকুল ইসলাম।

একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আরেকজন হলেন ঢাকার দারুস সালাম থানা এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় তারা সকলেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলির প্রসিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে, পরিকল্পিতভাবে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সাব্বিরকে হত্যা করে জাহাজ থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার দায়ে তার দুই সহকর্মীর যাবজ্জীবন ও একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার শিয়ালকাঠির আমজাদা হোসেন হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলামকে খালাস দেয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মেহেরিন সাদ নামে একটি জাহাজে সুকানির কাজ করতেন পিরোজপুরের কাউখালি উপজেলার শিয়ালকাঠি এলাকার সাব্বির। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই জাহজটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্য নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার বড়দিয়া ঘাটে অবস্থানকালে সাব্বিরের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার স্ত্রীর। এরপর রাত ৮ টার পর থেকে সাব্বিরের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে থাকা জাহাজের অন্যদের নম্বরে ফোন দিলে সেগুলোও বন্ধ পায় পরিবার। এরপর ৩ অক্টোবর নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার ডুমুরিয়া এলাকায় মধুমতী নদী থেকে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধারের খবর পায় পরিবারের লোকজন। পুলিশের কাছে থাকা লাশের ছবি দেখে সাব্বিরের মরদেহটি শনাক্ত করে পরিবার। পরে নিহতদের শ্যালক মহিদুল বাদি হয়ে জাহাজে কর্মরত ফারুক, রফিকুল, সাজ্জাদ ও শহিদুলের নাম উল্লেখসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নড়াগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

Leave a Reply